যেভাবে ধরা পড়লো লাবনী

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা থেকে লাবনী খাতুন (২০) নামে এক নারী ইয়াবা কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সে বোয়ালমারী উপজেলার ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা।

বোয়ালমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, লাবনী দীর্ঘদিন যাবত মাদক কারবারির সাথে জড়িত। বুধবার রাত ১০টার দিকে বোয়ালমারী পৌর সদরের ঠাকুরপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। স্থানীয়ভাবে সে ‘মাদকসম্রাজ্ঞী লাবনী’ নামে পরিচিত। লাবনীকে আটকের জন্য এর আগে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এর সাথে কে কে আরো জরিত সে ব্যপারে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলায় ২শ’ পিস ইয়াবাসহ মতি কাজী (৪২) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারকে আটক করেছে র‌্যাব। সে বোয়ালমারীর সুতাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুতাশী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তার পিতার নাম দাউদ কাজী।

র‌্যাব জানায়, জনপ্রতিনিধির ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন যাবৎ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানা এলাকায় অন্তত ১০ জন ফরিয়া বিক্রেতাকে দিয়ে মতি কাজী ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো।

উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ আটক মতি কাজীকে বোয়ালমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়।

 

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় রাজিয়া বেগম (৩০) নামে এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার নোয়াদা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অপর আসামীরা হলেন, আন্ত: জেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য ও মাদক কারবারি সাইফুল ইসলাম বাদশা (৩৫) ও সোহেল (২২)।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রাজিয়া বেগম ও সাইফুল ইসলাম বাদশা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। এদের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার চিলমারী গ্রামে। অপর আসামী সোহেল কোটালীপাড়া উপজেলার নোয়াদা গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম বাদশা মাদক ব্যবসায়ী ও আন্ত: জেলা মোটর সাইকেল চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম একজন মাদক ব্যবসায়ী । এদেরকে নোয়াদা গ্রামের মাদক কারবারি সোহেলের বাড়ির পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের সময় এদের কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল, ২০ পিছ ইয়াবা, মোটর সাইকেলের ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়। সাইফুল ইসলাম বাদশার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডজন খানেকের মতো মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।